তবে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা কিছুটা কমেছে। রবিবার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে নতুন করে ১৬১৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন।
শনিবার সকাল ৮টা থেকে রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত এ সংখ্যা ছিল ১৭০৬।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এ তথ্য জানিয়েছে।
এদিকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সোমবার খুলনায় এক সবজি বিক্রেতা এবং ফরিদপুরে এক মসজিদের খাদেমের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ময়মনসিংহে মারা গেছেন আরও একজন।
সোমবার সকাল ৭টার দিকে ডেঙ্গু জ্বরে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রূপসা উপজেলার খাজাডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা মিজানুর রহমান (৪০)। তিনি পেশায় সবজি বিক্রেতা ছিলেন।
অন্যদিকে, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মারা যান সদর উপজেলার গোলডাঙ্গীচর এলাকার শেখ শফিউদ্দিনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৩৫)। তিনি জেলা শহরের পূর্বখাবাসপুর মসজিদের খাদেম ছিলেন।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সোমবার ভোর ৫টার দিকে আনোয়ার হোসেন (৪৬) নামে এক ডেঙ্গু রোগী মারা গেছেন। হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. নারায়ণ মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার বাসিন্দা আনোয়ার গত ১১ আগস্ট হাসপাতালে ভর্তি হন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা শহরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৫৭ জন। আর ঢাকার বাইরে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৮৫৮ জন।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৬৭৩৩ জন। এরমধ্যে ঢাকার ৪১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৩৪১৯ জন। অন্যান্য বিভাগে মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৩৩১৪ জন।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত (১৯ আগস্ট) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৫৪ হাজার ৭৯৭ জন। হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নিয়ে চলে গেছেন ৪৮ হাজার ২৪ জন।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৪০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। তবে বেসরকারি হিসাব অনুযায়ী এ সংখ্যা আরও অনেক বেশি।