বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের সহযোগিতায় চট্টগ্রাম নগর ডিবি পুলিশের একটি টিম বুধবার তাকে গ্রেপ্তা করে। পরে বৃহস্পতিবার তাকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয় বলে জানান নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (বন্দর জোন) এস এম মোস্তাইন হোসাইন।
বিকালে সিএমপি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, চলতি বছরের ৩ মে নগরীর হালিশহর থানার শ্যামলী হাউজিং সোসাইটির একটি বাসা থেকে প্রাইভেটকারসহ ১৩ লাখ ইয়াবা উদ্ধার এবং দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করেছিল ডিবি পুলিশ। তারা হলেন-আশরাফ আলী (৪৭) এবং মো. হাসান (২২)। তাদের বাড়ি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায়।
পরে তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ইয়াবা গড়ফাদার হিসেবে মো. রেজওয়ান ওরফে রেদোয়ান ওরফে জুবায়েরের নাম প্রকাশ করে।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত দুজন আরো জানায়, জব্দ করা ইয়াবা ট্যাবলেটগুলোর মূল হোতা মো. আব্দুর রহিম নামে এক রোহিঙ্গা। আব্দুর রহিম ও রেজওয়ানের পরষ্পর যোগসাজোস রয়েছে।
রোহিঙ্গা নাগরিক আব্দুর রহিম বিভিন্ন সময় বার্মা হতে রেজওয়ানসহ ইতিপূর্বে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের মাধ্যমে চট্টগ্রামে বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীর কাছে ইয়াবা পাচার করতো। বার্মার নাগরিক আব্দুর রহিমের শ্যালক ধৃত আসামি রাশেদ প্রকাশ মুন্না (৩৫) বার্মা হতে আসা ইয়াবা ট্যাবলেট কার কাছে কী পরিমানে পাচার করা হবে তা নির্ধারণ করতো।
ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রির পর টাকা সংগ্রহ করে বার্মায় অবস্থানকারী আব্দুর রহিমের কাছে রাশেদ প্রকাশ মুন্না পাচার করত।