এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ১৪তম একনেক সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়।
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, ‘প্রায় ৪,৬১১ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে মোট নয়টি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে।’
তিনি জানান, মোট ব্যয়ের মধ্যে ৪,৩৬৬ কোটি ১২ লাখ টাকা সরকারি অর্থায়ন এবং বাকি ২৪৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর নিজস্ব তহবিল থেকে আসবে।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে সাতটি নতুন এবং বাকি দুটি সংশোধিত।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ঢাকা মহানগরী ও পূর্বাচলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ দৃষ্টিনন্দনকরণ প্রকল্পটি ২০২৪ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর।
পরিকল্পনা কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, মূল প্রকল্পের আওতায় থাকছে উত্তরায় তিনটি ও পূর্বাচলে ১১টি নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন, বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ, সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ, সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ ও সংস্কার এবং প্রয়োজনীয় ভূমি অধিগ্রহণ ও ভরাট করা।
একনেকের সভায় ৯৪৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে নেত্রকোনা ও সুনামগঞ্জের হাওড় এলাকায় নির্বাচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উন্নয়নের প্রকল্পও অনুমোদন করা হয়েছে।
এ প্রকল্পের আওতায় ৫২টি ছাত্রাবাস, ৩১টি বহুমুখী ভবন, শিক্ষকদের জন্য একটি ডরমেটরি এবং ৩১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করা হবে।
এমএ মান্নান জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভায় প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত পরীক্ষার বোঝা হ্রাসের উপায় খুঁজতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করতে আরও বেশি সময় পায়।
সেই সাথে প্রধানমন্ত্রী নেত্রকোনা ও সুনামগঞ্জ ছাড়াও অন্যান্য জেলার হাওর অঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়নে আলাদা প্রকল্প গ্রহণের পরামর্শ দেন।
সভায় চামড়া শিল্পনগরী, ঢাকা প্রকল্পের চতুর্থ সংশোধন অনুমোদন করা হয়। এতে ব্যয় কমেছে ৬৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা এবং প্রকল্পের মেয়াদ বেড়ে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত হয়েছে। এখন ব্যয় ধরা হয়েছে ১,০১৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।
একনেক ৬০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয় এবং এক বছর মেয়াদ বৃদ্ধি করে ফরিদপুর টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট স্থাপন প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধন অনুমোদন করেছে। ২০২০ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন হতে যাওয়া এ প্রকল্পে বর্তমানে ব্যয় হবে ১৬১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
বাকি যে পাঁচটি নতুন প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে সেগুলো হলো- ৩৯২ কোটি টাকায় নারায়ণগঞ্জের খানপুরে অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার এবং বাল্ক টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প, ৪০১ কোটি ২৪ লাখ টাকায় মোংলা বন্দরের আধুনিক বর্জ্য ও নিঃসৃত তেল অপসারণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্প, ১,২২৮ কোটি ২ লাখ টাকায় সিলেট সিটি করপোরেশনের জলাবদ্ধতা নিরসন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প, ১৫৮ কোটি ৬১ লাখ টাকায় মিরপুর সেনানিবাসে ডিএসসিএসসি’র জন্য অফিসার্স মেস ও বিওকিউ নির্মাণ প্রকল্প এবং ২৬৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকায় দেশ-বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ প্রদান প্রকল্প।
ড্রাইভিংয়ের প্রশিক্ষণ দেয়ার প্রকল্পের আওতায় ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এক লাখ চালককে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে বলে পরিকল্পনা কমিশন জানিয়েছে।