আহত ফরিদ হাসান বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্দু বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির ছাত্র এবং এসএম হল সংসদ নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে স্বতন্ত্রভাবে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছিলেন।
তাকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। ৩২টি সেলাই দেয়ার পর ফরিদকে ঢাবির মেডিকেল সেন্টারে স্থানান্তর করা হয়।
ফরিদ ইউএনবিকে বলেন, ‘রাত সাড়ে ১১টার দিকে আমার কক্ষে (৫০৯) ঘুমাচ্ছিলাম। তখন পিয়াসের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আমাকে জোর করে হলের ডাইনিংয়ে নিয়ে যায়। পরে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান তাপস ও হল ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক জুলিয়াস সিজারের উপস্থিতিতে প্রায় ৫০ জন নেতাকর্মী আমাকে নির্মমভাবে মারধর করে।’
তিনি বলেন, ‘তারা আমাকে জিজ্ঞাসা করে হলে থাকার সাহস কে দিয়েছে। মারধরের হাত থেকে বাঁচতে আমি পালিয়ে যাই।’
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেন তাপস। তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। সাধারণ শিক্ষার্থীরা ফরিদকে ধাওয়া করে।’
হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুল আলম জোয়ার্দার বলেন, ‘এর আগে ফরিদের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ উঠেছিল। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্তে হল কর্তৃপক্ষ কমিটি গঠন করবে। তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’