তাদের ১০ দফা দাবি মানা না হলে আগামী ১৪ অক্টোবর নির্ধারিত ভর্তি পরীক্ষায় বাধা দেয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সহপাঠী হত্যার ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার বুয়েটের শহীদ মিনারের সামনে আবরার হত্যাকাণ্ডের পর টানা চতুর্থ দিনের বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে শিক্ষার্থীরা এই ঘোষণা দেয়।
আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র তিথি বলেন, ‘উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম আমাদের সাথে দেখা না করলে এবং তার অবস্থান স্পষ্টভাবে না জানালে আমরা আগামীকাল ক্যাম্পাসের সব ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেব।’
বুয়েট শিক্ষার্থীদের ১০ দফা দাবিগুলো হচ্ছে: আবরারের খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা; হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শুক্রবার বিকাল ৫টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার; মামলার সব খরচ ও আবরারের পরিবারের ক্ষতিপূরণ বুয়েট প্রশাসনকে বহন করা; দায়েরকৃত মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের অধীনে স্বল্পতম সময়ে নিষ্পত্তিতে বুয়েট প্রশাসনকে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া এবং অবিলম্বে চার্জশিটের কপিসহ অফিসিয়াল নোটিস দেয়া।
এছাড়া বুয়েটে ‘সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি’ নিষিদ্ধ করা; বুয়েট ভিসি ও ছাত্র কল্যাণ উপদেষ্টাকে (ডিএসডব্লিউ) জবাবদিহি করা; আবাসিক হলগুলোতে র্যাগের নামে ভিন্ন মতাবলম্বীদের ওপর সকল প্রকার শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন বন্ধ করতে জড়িতদের ছাত্রত্ব বাতিলে পদক্ষেপ নেয়া; নির্যাতন বিরোধী রিপোর্টের জন্য অফিসিয়াল সাইটে পোর্টাল খুলে ঘটনাগুলোর দ্রুত বিচার করা এবং শেরে বাংলা হলের প্রভাস্টকে প্রত্যাহার করা।
এদিকে আবরার ফাহাদের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শোকর্যালি করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
বুয়েটের ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে (২১) রবিবার দিবাগত মধ্য রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হলের সিঁড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে বুয়েটের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মো. মাসুক এলাহি তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে আবরারকে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে মারধর করেন ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী।