রোহিঙ্গা ঢলের অনুপ্রবেশের দুই বছর পুর্তিতে রবিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ এ আহ্বান জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়া, প্রত্যবাসন তদারকি করা এবং পুনরায় প্রক্রিয়ার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে মিয়ানমার সরকারকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা উচিত।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দীর্ঘস্থায়ী সংকটের জন্য পুরোপুরি দায়বদ্ধ এমন একটি দল কর্তৃক প্রত্যাবাসন প্রয়াসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ করা ভিত্তিহীন, অশুভ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।
যারা যেকোনো সময় মিয়ানমারে ফেরত যেতে চায় তাদের জন্য বাংলাদেশ সরকার জাতিগত ও ধর্মীয় পরিচয় নির্বিশেষে ‘কাউকে বাধা না দেয়ার’ নীতিগত অবস্থান বজায় রেখেছে।
২০১৭ সালের এদিনে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থী আগমনের ঢল নেমেছিল।
এদিন থেকে পরবর্তী প্রায় একমাস পর্যন্ত প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন শরণার্থী ক্যাম্পে থাকা এসব শরণার্থীদের মাঝে আরও প্রায় ৯২ হাজার শিশু জন্ম নিয়েছে।