মঙ্গলবার ভোরে তুহিনের মা বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে দিরাই থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি আবু তাহের মোল্লা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তাদের নাম প্রকাশ করেননি।
উল্লেখ্য, গত রবিবার দিরাইয়ে রাতের আধারে ঘর থেকে তুলে নিয়ে পাঁচ বছরের শিশু তুহিনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ঘাতকরা তার লাশ রাস্তার পাশের একটি গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে।
শিশু তুহিনের শরীর জুরে ছিল ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন। পেটে দুটি ছুরি ঢোকানো অবস্থায় ছিল, দুটি কান কাটা ছিল এমনকি গোপনাঙ্গও কেটে ফেলা ছিল।
পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের বাবা আব্দুল বাছির ও তার তিন চাচা মাওলানা আব্দুল মোছাব্বির, জমসেদ মিয়া, নাছির, জাকিরুল, চাচী খয়রুন বেগম এবং চাচাতো বোন তানিয়াকে থানায় নিয়ে যায়।
প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশ বলছে, প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে পরিবারের লোকজনই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। শিশুটির বাবাসহ পরিবারের সাতজনকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘ওই গ্রামে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রাম্য কোন্দল ও প্রতিহিংসা থেকেই এ নির্মম ঘটনা ঘটেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত শিশুর পরিবারের যাদের থানায় আনা হয়েছিল, তাদের মধ্যে কয়েকজন এ ঘটনায় জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে আমরা নিশ্চিত হয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে অনেক তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে। আরও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে অনেক কিছুই বলা যাচ্ছে না। তবে দ্রুতই অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।