কুমিল্লায় নিহত সাইফুল ইসলামকে (২২) মাদক ব্যবসায়ী বলছে পুলিশ। সে আদর্শ সদর উপজেলার জোড়ামেহের গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। অপরদিকে মেহেরপুরে নিহত ব্যক্তির নাম-পরিচয় নিশ্চিত করতে না পারলেও পুলিশের দাবি, সে মাদক চোরাচালানী।
কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির উদ্দিন মৃধার ভাষ্য, পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী সাইফুল এবং তার সহযোগীরা মনাগ্রাম এলাকায় অবস্থান করছে এমন খবর পেয়ে ডিবি ও কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ রাতে সোয়া ১১টায় সেখানে অভিযান চালায়। উপস্থিতি টের পেয়ে সাইফুলের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসী সাইফুল গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর রাত ১২টায় চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনাস্থল থেকে রিভলবার ও ৩০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করার কথা জানিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘বন্দুকযুদ্ধে‘ তাদের তিন সদস্য আহত হয়েছেন।
এদিকে অভিযানে অংশ নেয়া কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আবু সালাম মিয়া জানান, নিহত সাইফুল পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে থানায় পাঁচটি মামলা রয়েছে।
অপরদিকে মেহেরপুর ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ব্যক্তির বিষয়ে সদর থানার ওসি রবিউল ইসলাম জানান, ভোর রাতের দিকে বুড়িপোতা গ্রামের একটি লিচু বাগানে গোলাগুলির শব্দ হচ্ছিল। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ওই স্থানে পৌঁছানোর আগেই গোলাগুলি বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে।
তার ভাষ্য, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, নিহত ব্যক্তি মাদক চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত।
ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুর্টারগান ও ৩০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করার কথা জানান ওসি।