তিনি শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে সফর সঙ্গীদের নিয়ে এমিরেটসের এক ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবেন।
ফ্লাইটটির স্থানীয় সময় রাত ১০টা ১০ মিনিটে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে। ইউএইতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন।
সফরকালে প্রধানমন্ত্রী আবুধাবির শাংগ্রিলা হোটেলে অবস্থান করবেন।
তিনি রবিবার সকাল ১০টায় দুবাই আল মাকতুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (দুবাই ওয়ার্ল্ড সেন্টার হিসেবেও পরিচিত) দুবাই এয়ার শো ২০১৯-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। পরে তিনি দুপুর ২টায় বিমানের উড্ডয়ন প্রদর্শনী উপভোগ করবেন।
প্রধানমন্ত্রী একই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তার সম্মানে ইউএইতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নেবেন।
এ সফরে তিনটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সই হতে পারে বলে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
তিন চুক্তি হলো- দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বিষয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাথে আমিরাত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের সাথে আমিরাত অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের দুটি চুক্তি এবং আবুধাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের জন্য জমির প্লট বরাদ্দ নিয়ে প্রোটোকল সই।
দুবাইয়ের শাসক শেখ মুহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম, আবুধাবির যুবরাজ ও ইউএই সশস্ত্র বাহিনীর উপ সর্বাধিনায়ক শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান এবং জেনারেল ওমেন’স ইউনিয়নের চেয়ারওমেন, সুপ্রিম কাউন্সিল ফল মাদারহুড অ্যান্ড চাইল্ডহুডের প্রেসিডেন্ট ও ফ্যামিলি ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের সুপ্রিম চেয়ারওমেন শেখ ফাতিমা বিনতে মোবারকের সাথে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনা ইউএই’র নেতৃস্থানীয় বিনিয়োগ গোষ্ঠী ও ব্যবসায়ী নেতাদের সাথেও বৈঠক করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী আবুধাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে ওই দেশে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন কর্মসূচির উদ্বোধন করতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রী চার দিনের ইউএই সফর শেষ করে মঙ্গলবার বিকালে ঢাকার উদ্দেশে এমিরেটসের ফ্লাইটে দুবাই ত্যাগ করবেন। রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানাবেন।
শেখ হাসিনাকে বহনকারী ফ্লাইটের রাত ১১টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।