তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি বন্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি। দুর্নীতিকে সমূলে উৎপাটন করতে চাই।’
বুধবার সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ‘শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০১৭-১৮’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অন্যতম নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠন। তারই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সব পর্যায় থেকে দুর্নীতি দূর করতে বদ্ধপরিকর।
প্রতিমন্ত্রী জানান, এ সরকার তাদের গত মেয়াদে ২০১২ সালে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল প্রণয়ন করে। এ কৌশলের রূপকল্প সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা এবং অভিলক্ষ্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠা।
বর্তমান সরকারের আমলে জনপ্রশাসনের বিপুল কর্মযজ্ঞে দক্ষতা আনায়ন, দুর্নীতি দমন ও শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বহুবিধ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ফরহাদ হোসেন বলেন, জনপ্রশাসনে নিযুক্ত কর্মকর্তারা যাতে স্বচ্ছতা ও নিয়ম-নিষ্ঠা পালন করে নাগরিকদের সেবা দিতে সক্ষম হন তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। সে লক্ষ্যে জনপ্রশাসনের আইন-কানুন ও বিধি-বিধানের পরিবর্তন ও সংস্কার করে তা অধিকতর যুগোপযোগী করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর তিনজন কর্মকর্তা/কর্মচারী শুদ্ধাচার পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়েজ আহম্মদ।