তাকে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি আদালতে উপস্থিত হয়ে আদালতের আদেশ অমান্য করার কারণ ব্যাখ্যা করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন। তার সঙ্গে ছিলেন এ আর এম কামরুজ্জামান কাকন ও সুব্রজিত ব্যানার্জি।
আইনজীবী আলতাফ হোসেন জানান, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধীনে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় প্রজেক্ট ইমপ্লিমেনটেশন অফিসার (পিআইও) হিসেবে চাকরিরত সিরাজুল ইসলাম সিদ্দিকী একজন মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার চাকরির বয়সসীমা এক বছর না বাড়ানোয় তিনি হাইকোর্টে রিট করেন। এ রিটের শুনানি করে গত বছরের ২৪ মে তার বয়সসীমা ৫৯ থেকে ৬০ বছর করার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। হাইকোর্টের আদেশের পরও চাকরির বয়সসীমা এক বছর বাড়াচ্ছিল না। উপরন্তু রায়ের নির্দেশনা পেয়ে তাকে ফোর্স রিটায়ারমেন্টে পাঠায়।
তিনি বলেন, ‘এজন্য আদালত অবমাননার মামলা করা হয়। এ অবস্থায় সিরাজুল ইসলাম সিদ্দিকীর স্থলে অন্য আরেকজনকে নিয়োগ দেয়া হয়। চাকরিরত অবস্থায় তার বেতন বন্ধ করে দেয়া হয়। তার চাকরির মেয়াদ চার মাস থাকলেও তাকে ঢাকার হেড অফিসে বদলি করা হয়। এ অবস্থায় আবেদন করলে গত ২৮ জানুয়ারি হাইকোর্ট সিরাজুল ইসলাম সিদ্দিকীর বদলির আদেশ স্থগিত করে এবং তিন দিনের মধ্যে বেতন-ভাতা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। এ অবস্থায় ব্যাকডেটে গত ২৭ জানুয়ারি অন্য একজনকে মুক্তাগাছার পিআইও নিয়োগ দেয় অধিদপ্তর। এ বিষয় তুলে ধরে বুধবার আবেদন করলে অন্যজনকে নিয়োগের আদেশ স্থগিত করে মহাপরিচালককে তলব করে হাইকোর্ট।’