বৃহস্পতিবার সিভিল-মিলিটারি সমন্বয়ের মাধ্যমে মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় রিজওনাল কনসালটেটিভ গ্রুপের (আরসিজি) চতুর্থ সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি রাজধানীর হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে তিনদিনব্যাপী এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
সম্মেলনে আরসিজি সদস্যসমূহের মোট ২৬টি দেশ থেকে প্রায় ১৫০জন প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা হয়তো প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধ করতে পারব না। তবে আমরা দূরদর্শী কাজের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হ্রাস করতে পারি। বাংলাদেশে আমরা ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসে প্রশমন কর্মসূচির ওপর সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করেছি।’
সরকারের গৃহীত নানা উদ্যোগের কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণহানি কমেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে পরিচিত।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ পূর্ব সতর্কতা ব্যবস্থা ও তথ্য প্রচার, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ এবং আত্ম নিবেদিত সিপিপি স্বেচ্ছাসেবকদের সক্রিয় কার্যক্রমসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে সাম্প্রতিক সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণহানির সংখ্যা কমাতে সক্ষম হয়েছে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭২ সালে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি-সিপিপি মডেলের উদ্যোগ নিয়েছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সিপিপি বিশ্বে সম্প্রদায়-ভিত্তিক দুর্যোগ প্রস্তুতির কর্মসূচির মধ্যে অন্যতম। এখন আমরা অন্যান্য দুর্যোগের ক্ষেত্রেও সিপিপি মডেল অনুসরণ করছি।
মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা যানবাহন দুর্ঘটনা, অগ্নিকাণ্ড, ভবন বা সেতু ধস, সন্ত্রাসী হামলার মতো মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ উপেক্ষা করতে পারি না। এসব দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান এবং সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. শাহ কামাল।