তিনি বলেন, ‘দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাসকারী জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করতে হবে, যা জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল। এটি আমাদের লক্ষ্য। আমরা লক্ষ্য অর্জনের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।’
বৃহস্পতিবার নিজের সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের ২০টি জেলায় ৩৩টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি সাতটি নবনির্মিত সেতু, একটি জেটি, নয়টি উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের সম্প্রসারিত প্রসাশনিক ভবন এবং হল রুম, ছয়টি নবনির্মিত নগর মাতৃসদন ভবন এবং ১০টি নগর স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র উদ্বোধন করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় ফিরে আসার পর নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী তার সরকার দিনবদলের যাত্রা শুরু করে। ‘গত ১০ বছরে আমরা মানুষের জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন করেছি। আমরা পরিবর্তনের যাত্রা শুরু করেছি এবং সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।’
তিনি উল্লেখ করেন, সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে দারিদ্র্য দূরীকরণের মাধ্যমে দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ করা। আমরা শেষ পর্যন্ত অসাধারণ সফলতা অর্জন করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ যাতে ভালোভাবে জীবনযাপন করতে পারে সেজন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আমরা জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর জনগণের জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন করে আওয়ামী লীগ সর্বদা জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শেখ হাসিনা ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত শাসনের ভয়াবহ দিনগুলো স্মরণ করেন, যখন ব্যাপক হত্যাকাণ্ড, দুর্নীতি ও জঙ্গি কার্যক্রম চলছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে জনগণ ভোটের মাধ্যমে আবার আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনে। সরকার গঠনের পর দলটি দেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য অসংখ্য প্রকল্প গ্রহণ করে। ফলস্বরূপ, বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আর্থ-সামাজিক অবস্থা এবং স্বীকৃতি অর্জন করেছে।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বক্তব্য রাখেন।
পরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী আট জেলার মানুষের সাথেও কথা বলেন।