তিনি বলেন, নিজে নির্বাচিত হয়ে মির্জা ফখরুল সাহেব সংসদে গেলেন না। অথচ সেই আসনে তার লোক নির্বাচনে অংশ নিল। কোন কৌশলে নির্বাচনে জিতে তিনি সংসদে যোগ দিলেন না- এই প্রশ্নের জবাব দেশবাসী জানতে চায়।’
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আন্দোলন এবং নিবার্চনে ব্যর্থ হয়ে এখন অপপ্রচার চালাচ্ছে বিএনপি, অপপ্রচারই তাদের একমাত্র পুঁজি।’
‘বর্তমান সরকার কোনোদিনই বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ করেনি, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে বিএনপি কেন আন্দোলন করছে না? তাদের ডাকে জনগণ আর সাড়া দেয় না, এটা তাদের নেতিবাচক রাজনীতির ফসল, এখানে আওয়ামী লীগের কিছু করার নেই,’ যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।
এ সময় তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে দলটিকে আন্দোলনের সক্ষমতা দেখানোর চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি আওয়ামী লীগ বা বিএনপির বিষয় নয়। আদালতের বিষয়। বিএনপির যদি সক্ষমতা থাকে খালেদা জিয়ার জন্য আন্দোলন করে না কেন? তারা শুধু মুখে হাকডাক দেয়। দেখি না তারা আন্দোলন করে খালেদা জিয়াকে বের করুক।’
খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে সরকারের কিছু করার নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বেগম জিয়ার জামিনের ব্যাপার বরাবরই আদালতের বিষয়। আওয়ামী লীগ তাকে জেলে বন্দি করেনি। আদালতের আদেশে দুর্নীতির মামলায় তিনি কারাগারে আছেন। এটা আইনের ব্যাপার। আইনিভাবে তাকে বের করে আনতে পারলে সেটা আপনাদের ব্যাপার। সরকার তাকে মুক্তি দিতে পারে না। কারণ বিচার বিভাগ স্বাধীন। বিচার বিভাগে সরকার হস্তক্ষেপ করে না।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আওয়ামী লীগের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ। সরকারকে কোণঠাসা করার জন্য, বিপদে ফেলার জন্য তৎপরতা চালাচ্ছে বিরোধী পক্ষ।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সভাপতি হাজী আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন - ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহে আলম মুরাদ।