এদিকে, করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭১ হাজার ৬৭৫ জন। তাদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন তিন হাজার ১৭১ জন। মোট পরীক্ষার ক্ষেত্রে শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৬২ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানা মঙ্গলবার কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ডা. নাসিমা জানান, করোনাভাইরাসে নতুন মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৩৩ ও নারী ১২ জন। মোট শনাক্তের ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৫৫টি ল্যাবে ১৪ হাজার ৬৬৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
ডা. নাসিমা আরও জানান, করোনার কবল থেকে নতুন করে ৭৭৭ জন সুস্থ হওয়ায় মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ৩৩৬ জন। সুস্থতার হার এখন পর্যন্ত ২১ দশমিক ৪০ শতাংশ।
বিশ্ব পরিস্থিতি
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৪ লাখ ৬ হাজার ৪১৩ জনে দাঁড়িয়েছে এবং এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭০ লাখ ৯৭ হাজার ৭১৭ জন।
জেএইচইউর তথ্য অনুসারে, মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট ৭ লাখ ৭ হাজার ৪১২ জন করোনাভাইরাসের রোগী নিয়ে বিশ্বে সর্বোচ্চ আক্রান্তের দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পরে দ্বিতীয় অবস্থানে ওঠে এসেছে ব্রাজিল। দক্ষিণ আমেরিকার এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৭ হাজার ১৩৪ জন।
অন্যান্য দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মারা যাওয়ার তলিকার শুরুতে আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত এক লাখ ১০ হাজার ৯৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় ১৯ লাখ ৬০ হাজার ৬৪২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের শুধুমাত্র নিউইয়র্ক রাজ্যেই মারা গেছেন ৩০ হাজার ৪১৭ জন।
করোনায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাজ্যে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার ৬৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর পরেই ইতালিতে ৩৩ হাজার ৯৬৪ জন, ফ্রান্সে ২৯ হাজার ২১২ জন এবং স্পেনে ২৭ হাজার ১৩৬ জন মারা গেছেন।