তিনি বলেন, ‘ঘটনাগুলো স্যাবোটেজ কি না, কেউ কোনোভাবে সরকারের সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য এসব করছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে। এ রকম সংকটের উদ্ভব হতে পারে, কিন্তু এভাবে আগুন জ্বালিয়ে ধানক্ষেতে...ঘটনাগুলো বিশেষ বিশেষ জায়গায় ঘটছে কেন? প্রধানমন্ত্রী এটা তদন্ত করে জানাতে বলেছেন।’
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাসের সাথে সবিচালয়ে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সমস্যার বাস্তবসম্মত সমাধান করতে হবে। একটা সমস্যা হয়েছে, ধান পুড়িয়ে এ সমস্যার সমাধান তো হবে না। সরকার এখানে আন্তরিক। সরকার কখনো চাইবে না কৃষির মেরুদণ্ড যে কৃষক তারা ক্ষতিগ্রস্ত হোক। কৃষকদের স্বার্থবিরোধী কিছু এ কৃষকবান্ধব সরকার করবে না। শেখ হাসিনার সরকার এ ব্যাপারে আন্তরিক।
ভারতীয় হাইকমিশনারের সাথে বৈঠক নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ভারতীয় ঋণে অনেকগুলো প্রকল্প চলমান রয়েছে। আবার নতুন প্রকল্পও আমরা হাতে নিচ্ছি। কানেক্টিভিটির নতুন দুয়ার উন্মোচিত হবে।’
তিস্তার পানিবণ্টন নিয়ে তিনি বলেন, যেভাবে ছিটমহল হস্তান্তর ও সীমান্ত সমস্যার সমাধান হয়েছে সেভাবে তিস্তাসহ অভিন্ন নদীগুলোর পানিবণ্টন সমস্যার সমাধান হবে। ‘হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই, আলোচনা চলছে। ভারতের নতুন সরকার এ আলোচনার বাস্তব রূপ দেবে ও আরও এগিয়ে নেবে, এটিই আমরা আশা করি।’
ভারতের নির্বাচন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভারতের জনগণ যে দল বা জোটকে নির্বাচিত করবে, তাদের সাথেই আমাদের সম্পর্ক থাকবে। সরকারের সাথে সরকারের, মানুষের সাথে মানুষের যে যোগাযোগ ও সম্পর্ক আছে, যে জোট বা দলই আসুক না কেন, জনগণের নির্বাচিত সরকারের সাথে আমাদের সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে।’