পুলিশ ও পরিবারের সদস্যরা জানান, কাজল গ্রামের বাসিন্দা ওই কিশোরী রবিবার পহেলা বৈশাখে বান্ধবীদের সঙ্গে আত্রাই নদের ধারে বেড়াতে যায়। এ সময় সুজন মেয়েটিকে ভয় দেখিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে সাপাহার উপজেলার গোপালপুরে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান।
পরে খবর পেয়ে ধামইরহাট থানা পুলিশ রাত আড়াইটার দিকে ওই বাড়ি থেকে কিশোরীকে উদ্ধার এবং সুজনকে আটক করে।
কিশোরীর বাবা বলেন, কাজল গ্রামে সুজনের বোনের বিয়ে হয়েছে। এই সুবাদে তিনি এখানে আসলে মাঝেমধ্যেই তার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতেন। এ বিষয়ে সুজনের বোন ও দুলাভাইয়ের কাছে অভিযোগ এবং তাকে কাজল গ্রামে আসতে বারণ করা হয়। সেই ক্ষোভে সুজন তার মেয়েকে অপহরণের পর ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ করেন কিশোরীর বাবা।
ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকিরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। এছাড়া সোমবার সদর হাসপাতালে কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
গ্রেপ্তার সুজনকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।