মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের একক বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়। আদালত আগামী বৃহস্পতিবার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী খোন্দকার মাহবুব হোসেন ও আইনজীবী এম. মাসুদ রানা। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না।
এর আগে গত ৯ অক্টোবর এই রিটের ওপর বিভক্ত আদেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চ। ওই দিন রিটের ওপর শুনানি গ্রহণ শেষে বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী একটি অন্তর্বর্তী আদেশ জারির পাশাপাশি রুল জারি করেন।
রুলে বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুসারে আবেদনকারীদের এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অসংখ্য মানুষের বিরুদ্ধে কথিত উদ্দেশ্যমূলক ‘কল্পিত’ ফৌজদারি মামলা করা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং এ ধরনের ‘কল্পিত’ মামলা দায়েরে সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
একইসঙ্গে ঢাকা মহনগর এলাকায় আবেদনকারীসহ অন্যদের বিরুদ্ধে হওয়া কথিত ‘কল্পিত’ মামলাগুলো তদারকি করতে ও অনুসন্ধানে পদক্ষেপ নিতে পুলিশের মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দেয়া হয়। এবিষয়ে হলফনামা আকারে আদেশ পাওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। ঘোষিত আদেশে বলা হয়, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আইন অনুসারে মুক্তভাবে তদন্তকাজ পরিচালনা করতে পারবেন।
জ্যেষ্ঠ বিচারপতির এ আদেশের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে রিট আবেদন সরাসরি খারিজ করে দেন বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল।
তিনি তার পর্যবেক্ষণে বলেন, রিট আবেদনকারীদের অভিযোগের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে সংবিধান ও আইন অনুযায়ী আমাদের দেখতে হবে রিট আবেদনটি যথাযথভাবে করা হয়েছে কিনা কিংবা রিট আবেদন করার এখতিয়ার আছে কিনা। রিট আবেদনকারীরা বলছেন জনস্বার্থে এ আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু আবেদনকারীরা নিজেরাই কথিত ‘গায়েবি’ মামলার আসামি। আইন অনুযায়ী এসব ফৌজদারি মামলায় আইনগতভাবে বিচারিক আদালতে তাদের প্রতিকার পাওয়ার সুযোগ আছে। এ কারণে সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাদের রিট আবদেন করার এখতিয়ার নেই।
এই বিভিক্ত আদেশের পর নিয়ম অনুযায়ী রিট আবেদনটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হয়। তিনি বিভক্ত আদেশের বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের একক বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেন।