বৃহস্পতিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে পহেলা বৈশাখের নিরাপত্তার বিষয়ে গণমাধ্যমকে ব্রিফিংকালে ডিএমপি প্রধান বলেন, ‘বাংলা নববর্ষকে বরণ করতে প্রধান অনুষ্ঠান স্থানগুলো ঘিরে নিরাপত্তা বলয় থাকবে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে কাউকে মুখোশপরা এবং ভুভুজেলা বাজানোর অনুমতি দেয়া হবে না।
‘মঙ্গল শোভাযাত্রার’ নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীদের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রায়’ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দ্বারা বেষ্টনি তৈরি করা হবে। এছাড়া পুলিশ বিভিন্ন ভবনের ছাদ থেকে নজরদারি করবে।
এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নীলক্ষেত, পলাশি, শাহবাগ, কাকরাইল ও মৎস্য ভবন এলাকায় ব্যারিকেড স্থাপন করবে এবং ওই এলাকাগুলোতে কোনো যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না।
রমনা পার্ক ও রবীন্দ্র সরোবরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানস্থলে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপন করা হবে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।
আছাদুজ্জামান বলেন, পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশের ক্ষেত্রে আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করে প্রবেশ করানো হবে। অনুষ্ঠানস্থলে কোন প্রকার ব্যাগপ্যাক, ট্রলি ব্যাগ, বড় ভ্যানিটি ব্যাগ, হ্যান্ড ব্যাগ, ধারালো অস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্র, দাহ্য পদার্থ, ব্লেড, নেল কাটার সঙ্গে নিয়ে আসা যাবে না। তবে মহিলারা ছোট হ্যান্ড পার্স নিয়ে আসতে পারবেন। বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি করে সকলকে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করতে দেয়া হবে।
তিনি জানান, নিরাপত্তার স্বার্থে উন্মুক্ত স্থানে সন্ধ্যা ৬টার পর কোনো ধরনের অনুষ্ঠান করা যাবে না। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অনুষ্ঠান বিকাল ৫টার পর শেষ করতে হবে।
নিরাপত্তার হুমকি আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রাজধানী শহরে হামলার কোনো ধরনের হুমকি নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এছাড়া সাদা পোশাকে পুলিশ, গোয়েন্দা দল, সোয়াট ও বোমা ডিসপোজাল ইউনিট পুলিশের পাশাপাশি অবস্থানে থাকবে।