এ ঘটনায় সম্প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালকের কাছে অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী দীন ইসলাম ২০১৭-১৮ অর্থবছরের শেষ ছয় মাসে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নরসিংদীর পশ্চিম ব্রাহ্মন্দীর মেসার্স আবরার এন্টারপ্রাইজের নামে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) নয়টি প্রকল্প দেখিয়ে অধিকাংশ প্রকল্পের কাজ ৮০ শতাংশ অসমাপ্ত রেখেই প্রায় ৮৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
এছাড়া জুন মাসে এসে দরপত্র ছাড়াই কোটেশনের মাধ্যমে পছন্দের ঠিকাদারদের দিয়ে ১০টি কার্যাদেশে ১৯ লাখ এবং ডিপিএম পদ্ধতিতে ২৭ লাখ টাকার কোনো কাজ না করেই আত্মসাৎ করেন দীন ইসলাম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক ঠিকাদার বলেন, ‘আমাদের নামে বিল উঠেছে। কিন্তু টাকা খেয়েছেন এসডিই দীন ইসলাম। ভ্যাট ও আইটি দিয়ে আমরা মাত্র ১৫ হাজার টাকা পেয়েছি। তবে মাত্র একদিনে ১৫ হাজার টাকাই বা কম কী!’
সূত্র জানায়, দীন ইসলামকে নরসিংদী কার্যালয় থেকে ইতিপূর্বে দুবার বদলি করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি তদবির করে এখানে থেকে গেছেন।
দীন ইসলাম ঠিকাদারদের কাছ থেকে তার স্বজনদের নামে পর্যন্ত চেকের মাধ্যমে ঘুষ নিয়ে থাকেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তিনি ইউসিবিএল চিনিশপুর শাখার চেকে ২০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন।
এসব বিষয়ে কথা বলতে চাইলে দীন ইসলাম সময় দিতে সম্মত হননি। এমনকি তিনি আবরার এন্টারপ্রাইজের মালিকের নাম পর্যন্ত বলতে রাজি হননি।