শনিবার হাইকমিশন জানায়, ২৮ ফেব্রুয়ারির এ বর্ণিল আয়োজনে বাংলাদেশ, চেক রিপাবলিক, ইরান, ভারত, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়ার (ইউরোবা ও ইংলিশ) শিল্পীদের পাশাপাশি হাইকমিশনের পরিবার ও স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যরা নাচ, গান ও কবিতা আবৃত্তিতে অংশ নেন।
নাইজেরিয়ার ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, ভারত, কোরিয়া ও কেনিয়ার রাষ্ট্রদূত/হাইকমিশনার এবং ইরাকের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতসহ বিভিন্ন দেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কূটনীতিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধি, পশ্চিমবঙ্গের বাঙ্গালি কমিউনিটির সদস্য এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ইরান ও মালয়েশিয়ার কূটনীতিকদের পরিবেশনা নতুন মাত্রা যোগ করে।
এছাড়াও হাইকমিশনে আলোচনা সভার শুরুতেই ভাষা শহীদদের এবং সম্প্রতি ঢাকার চকবাজারে সংগঠিত অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর দিবসটির ওপরে একটি প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন যে দিবসটি সারা বিশ্বে ভাষার বৈচিত্র্য উদযাপনের একটি প্রেক্ষাপট তৈরি করেছে। এ প্রসঙ্গে তিনি মহান ভাষা আন্দোলনে ভাষা শহীদ ছাড়াও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃস্থানীয় ভূমিকা তুলে ধরেন।
ভাষা আন্দোলনের ঐতিহাসিক গুরুত্ব তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত আরও বলেন যে এই আন্দোলনের ধারাবাহিক অর্জনই বাংলাদেশের স্বাধীনতা।
অনুষ্ঠানে আবুজায় ইউনেস্কোর ভারপ্রাপ্ত আঞ্চলিক প্রতিনিধি আদেলে নিবুনা অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
তিনি দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরতে গিয়ে এ ক্ষেত্রে ইউনেস্কোর ভূমিকার কথা উল্লেখ করার সাথে সাথে বাংলাদেশি তরুণদের আত্মত্যাগের কথাও তুলে ধরেন।
নাইজেরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া ও প্রশান্ত বিভাগের পরিচালক নুরা আবা রিমি দিবসটির মূল চেতনার উল্লেখ করে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের মধ্যে শান্তি ও পারস্পরিক বোঝাপড়া সৃষ্টির ক্ষেত্রে ইউনেস্কোর ঘোষণার তাৎপর্য তুলে ধরেন।
ভারতের হাইকমিশনার আবেয় ঠাকুর তার বক্তৃতায় মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার মধ্য দিয়ে দিবসটির আন্তর্জাতিক মাত্রা পাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অনন্য অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানান।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনের মধ্য দিয়ে বিশ্বসম্প্রদায়ের মধ্যে ভাষাগত বন্ধনের একটি অনন্য সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠান শেষে হাইকমিশনার ও তার সহধর্মিনী পেন্ডোরা চৌধুরী অংশগ্রহণকারী শিল্পীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করনে এবং পরিশেষে ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি খাবারে অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়।