বুধবার দুপুরে রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
এসময় অভিযুক্ত ২৬ জন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
তাদের মধ্যে নয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস প্রদান করা হয়।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সিংড়া উপজেলার সোয়াইর বালাল গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে আরিফুল ইসলাম, রইচ প্রাং এর ছেলে রবিউল ইসলাম, মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে সবুজ আহম্মেদ, আলতাব হোসেনের ছেলে আহসান হাবিব, আকরাম হোসেনের ছেলে আলমাছ খান, আফসার আলীর ছেলে আইয়ুব আলী, মৃত শুকটা প্রাংয়ের ছেলে মুকুল হোসেন, শামীম হোসেনের ছেলে রুবেল হোসেন এবং সাইফুল ইসলামের ছেলে রাব্বানী।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এনতাজুল হক বাবু বলেন, ২০১৪ সালের মার্চে সিংড়ার সোয়াইর বালাল গ্রামের ওসমান আলী খানের ছোট ভাই আবু বকর সিদ্দিক ওরফে আবু খা রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ওৎ পেতে থাকা আসামিরা তাকে অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। আবু বকর রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে গেলে আসামিরা পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবু বকরকে মৃত ঘোষণা করে।
এ ঘটনায় ২৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আজ মামলার রায়ে নয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।