সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে তৃণমূলের নারীরা স্বাবলম্বী হয়েছে উল্লেখ করে তিনি নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের পথ সুগম করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
শুক্রবার রাজধানীর গুলশান ইয়ুথ ক্লাবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) আয়োজিত ‘সবাই মিলে সবার ঢাকা, নারী-পুরুষ সমতা, রুখতে পারে সহিংসতা’ লক্ষ্যকে সামনে রেখে এক কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন।
স্পিকার নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ডিএনসিসির সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এ ধরনের কার্যক্রম নারীদের জন্য নিরাপদ ও নারীবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, শিক্ষা উপবৃত্তি, প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা ট্রাস্টসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে নারীদের আজ উচ্চ শিক্ষার সুযোগ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এভাবে নারীর অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, সকল পেশায় নারীর অংশগ্রহণ আজ দৃশ্যমান। নারীরা নিজেদের মেধা, যোগ্যতা ও দক্ষতায় সফলতার স্বাক্ষর রাখছে। নারীর জন্য নিরাপদ কর্ম পরিবেশের পাশাপাশি সিদ্ধান্ত গ্রহণের জায়গায় অংশগ্রহণ আরও বৃদ্ধি করার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। এসময় তিনি নারীদের সুযোগ ও সক্ষমতার মধ্যে সমন্বয় ঘটিয়ে এগিয়ে নিতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে শক্তিশালী আইনী কাঠামো রয়েছে। অপরাধ সংগঠিত হলে বিচারের আওতায় আনতে হবে। আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে নারীর প্রতি সহিংসতা কমে আসবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ. কে. এম রহমতুল্লাহ, নাহিদ ইজাহার খান, অপরাজিতা হক, পুলিশের আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাভেদ পাটোয়ারী, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিসেল ব্লিকেন, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত সার্লোট্টা স্লাইটার, জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এবং আইপিডিসি'র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মমিনুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই। সংসদ সদস্য, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।