রবিবার বিকালে কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ বিভাগের আয়োজনে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে ঢাকা রেঞ্চের ডিআইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন এসব কথা বলেন।
ডিআইজি মামুন বলেন, নার্স তানিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় রিমান্ডে থাকা প্রধান আসামি বাসচালক নূরুজ্জামান নূরু স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।
বাসচালক নূরু ও হেলপার লালন মিয়া রিমান্ডে নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, সেসব তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
‘তারা জানিয়েছে, ঘটনার সময় বাসটিতে চালক নূরু ও হেলপার লালন ছাড়াও আরেকজন ছিল। তাকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ,’ যোগ করেন তিনি।
প্রেস ব্রিফিংয়ে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (অপস্ অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্ট) মো. আসাদুজ্জামান মিয়া। এতে সভাপতিত্ব করেন কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ। এর আগে তিনি দুপুরে ঘটনাস্থল (বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়নের বিলপাড় গজারিয়া) পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য রাজধানী ঢাকায় ইবনে সিনা হাসপাতালে কর্মরত নার্স তানিয়া গত সোমবার বাড়িতে আসার জন্য ঢাকার মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে স্বর্ণলতা পরিবহনের একটি বাস যোগে রওয়ানা হন। বাসটি কিশোরগঞ্জ-ভৈরব সড়কের বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়নের বিলপাড় গজারিয়া জামতলী নামক স্থানে পৌঁছালে বাসের চালক ও সহকারীসহ অন্যান্যরা তাকে ধর্ষণ করে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ উঠে।
মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধারের পর রাত পৌনে ১১টার দিকে তানিয়াকে কটিয়াদি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।