বুধবার জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় সদস্য নূর-ই হাসনা লিলি চৌধুরীর (নারী আসন-৪৪) এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এত বড় দুর্ঘটনা ঘটলো। এমন আন্দোলন হলো। তারপরও আমরা দেখছি মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি হয়নি। তারা যত্রতত্র রাস্তা পারাপার হচ্ছেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের মাঝে অদ্ভুত মানসিকতা রয়েছে। তারা দ্রুতগতির যানবাহনের সামনে শুধুমাত্র হাত দেখিয়ে রাস্তা পার হওয়া শুরু করেন। যদিও একটি দ্রুতগতির বাস সব সময় সাথে সাথে থেমে যেতে পারে না।
বেপরোয়া পথচারীদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, অভিভাবকরা তাদের শিশু সন্তানদের নিয়ে অনেক চলন্ত গাড়ির সামনে দিয়ে রাস্তা পার হন। কাছাকাছি ফুট-ওভার ব্রিজ বা আন্ডারপাস থাকার পরও এমনকি তরুণ পথচারীরাও সেসব ব্যবহার করতে চায় না। তারা দ্রুতগতির বাসের সামনে দিয়ে দৌড়ে রাস্তা পার হয়, যার ফলে দুর্ঘটনা ঘটে।
পথচারীরা রাস্তা পার হওয়ার জন্য এক মিনিটও অপেক্ষা করতে বা ফুট-ওভার ব্রিজ ও আন্ডারপাস ব্যবহার করতে চায় না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে পথচারী ও চালকের দোষ কতটুকু তা বিবেচনা করা দরকার।
শেখ হাসিনা বলেন, যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে মানুষ চালককে মারার জন্য আগ্রহী থাকে, আহতকে সাহায্য করতে নয়। আর এই মার থেকে বাঁচার জন্য চালক অনেক সময় আহতদের ওপর দিয়েই দ্রুত বাস চালিয়ে দেন।
‘দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে মানুষ যদি চালকদের মার দেয়া বন্ধ করে তাহলে দুর্ঘটনার (হতাহত) পরিমাণ ৫০ শতাংশে নেমে আসবে,’ জানিয়ে তিনি বলেন, কারো হাতে আইন তুলে নেয়া উচিত নয়, বরং চালককে পুলিশের হাতে তুলে দিতে হবে।
সড়কে সবার ট্রাফিক আইন মেনে চলা উচিত বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।
তিনি জানান, সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে জেব্রা ক্রসিং তৈরি, স্কুলের সামনে ট্রাফিক পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবী রাখা এবং আন্ডারপাস ও ফুট-ওভার ব্রিজ নির্মাণ।