তবে তিনি বলেন, বিরোধীদল যদি ছোট মন্ত্রিসভার দাবি জানায় তাহলে সেটা হতে পারে।
সোমবার নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘(মন্ত্রিসভা ছোট করার) প্রয়োজন আছে কিনা তা আমি জানি না।’
সৌদি বাদশা ও পবিত্র দুই মসজিদের খাদেম সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের আমন্ত্রণে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সৌদি আরব সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংসদে প্রতিনিধিত্ব করা সব দলগুলোর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে বর্তমান মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছে। যেখানে আগের মন্ত্রিসভা শুধুমাত্র ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সদস্যদের নিয়ে গঠন করা হয়েছি।
শেখ হাসিনা জানান, মন্ত্রিসভা ছোট করার বিষয়টি নিয়ে তিনি সংসদের বিরোধীদলীয় নেত্রীর সাথে ইতিমধ্যে কথা বলেছেন। ‘আমি তাকে বলেছি যে আপনারা যা দাবি করবেন আমরা তাই করব...যদি তারা চায় তাহলে আমরা মন্ত্রিসভা ছোট করব, আর তা না হলে মন্ত্রিসভা যা আছে তাই থাকবে।’
আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনের সময় মন্ত্রিসভা ছোট করা হলে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলো থেমে যাবে।
‘আমরা ইতিমধ্যে অনেকগুলো প্রকল্প অনুমোদন করেছি...এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে সমস্যা হতে পারে। যদি আপনি একজন মন্ত্রীকে একের অধিক মন্ত্রণালয় দেন তাহলে সন্দেহ আছে যে সেই মন্ত্রী সেসব কাজ করতে পারবেন কিনা,’ যোগ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে রাষ্ট্রপতির সাথে কথা বলেছেন। তবে তাদের আলোচনার ফল কী তা উল্লেখ করেননি তিনি।
অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ব্রিটেন ও ভারতের মতো যেসব দেশ সংসদীয় গণতন্ত্র অনুসরণ করে সেসব দেশের নেতাদের সাথেও তিনি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে জানান শেখ হাসিনা।
‘তারা নির্বাচনের সময় সরকার পরিবর্তন করে না। দেখা যাক বিরোধীদল কী চায়। তারা যদি চায় তাহলে আমরা তা করব...না হলে এটি যা আছে তাই থাকবে,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।