একই সঙ্গে বিচারিক আদালতে দুর্নীতির মামলাটি ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।
বুধবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. শফিকুল ইসলাম।
পরে আমিন উদ্দিন মানিক জানান, নুর হোসেনকে অব্যাহতির আদেশের বিরুদ্ধে দুদক হাইকোর্টে ফৌজদারি রিভিশন করে। তখন আদালত রুল জারি করেন। বুধবার হাইকোর্ট সেই রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দেন। ফলে বিচারিক আদালতের অব্যাহতির আদেশ বাতিল হয়ে গেল। এখন তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলাটি চলবে। এ মামলা ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
মামলার বিবরণ থেকে উল্লেখ করে আমিন উদ্দিন মানিক জানান, নুর হোসেন সিদ্ধিরগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান থাকাকালীন ১৯৯৭ সালে ইউনিয়ন পরিষদের অনুকূলে প্রাপ্ত ভুমি উন্নয়ন করের এক শতাংশ অর্থ বরাদ্দের পাঁচ লাখ টাকা ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন। বিষয়টি তৎকালীন জেলা দুর্নীতি দমন ব্যুরো, নারায়ণগঞ্জের তদন্তে প্রমাণিত হলে পরিদর্শক ঋত্বিক সাহা ২০০২ সালের ২৮ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত শেষ করে দুদকের সহকারী পরিচালক মোহা. আবুল হোসেন ২০১১ সালের ১৯ জুলাই অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। মামলাটি দেরিতে দায়ের করা হয়েছে এই কারণে নারায়ণগঞ্জের বিশেষ জজ আদালত ২০১৩ সালের ৩০ জানুয়ারি আসামিকে অব্যাহতি দেন। তার অব্যাহতি আদেশের বিরুদ্ধে দুদক ২০১৫ সালের ২৩ এপ্রিল হাইকোর্টে ফৌজদারি রিভিশন দায়ের করেন। হাইকোর্ট এই বিষয়ে ওই বছরের ২৮ জুন রুল জারি করে।