বুধবার বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস সামশ জগলুল হোসেন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
এ সময় মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে অভিযোগ পড়ে শোনান রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি নজরুল ইসলাম শামীম।
তিনি ওসি মোয়াজ্জেমকে জিজ্ঞেস করেন নুসরাতের ভিডিও ভাইরাল করার অপরাধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৬, ২৯ ও ৩১ ধারায় আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হলো। আপনি দোষী না নির্দোষ?
কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা ওসি মোয়াজ্জেম নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
অভিযোগ গঠনের ফলে তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচারকাজ শুরু হয়েছে।
বুধবার সকাল ৯টার দিকে মোয়াজ্জেম হোসেনকে কাশিমপুর কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে আদালতে আনা হয়। এসময় তাকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। বেলা ২টার দিকে তাকে বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালে তোলা হয়।
এসময় মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী ফারুক আহমেদ। অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে অভিযোগ গঠন করে আদালত।
এছাড়া আসামির আইনজীবী জামিনের আবেদন করলে আসামির জামিনের আবেদনও নামঞ্জুর করেন বিচারক। মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৩১ জুলাই দিন ধার্য করা হয়।
এর আগে ১০ জুলাই মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে মোয়াজ্জেমকে আদালতে হাজির না করায় অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানোর আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। বিচারক সময় আবেদন মঞ্জুর করে ১৭ জুলাই অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।
এর আগে ২৪ জুন জেল কোড অনুযায়ী ওসি মোয়াজ্জেমের ডিভিশনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয় আদালত।
গত ১৬ জুন রাজধানীর শাহবাগ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গত ১৭ জুন বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস শামস জগলুল হোসেন ওসি মোয়াজ্জেমের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে ২৭ মে বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক পিবিআইয়ের প্রতিবেদন আমলে নিয়ে মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
মামলার বাদী আইনজীবী সুমন আসামি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন। আদালত বাদীর আবেদন আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
গত ১৫ এপ্রিল ফেনীর সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। আদালত তার জবানবন্দি নিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৬, ২৯ ও ৩১ ধারায় করা অভিযোগটি পিটিশন মামলা হিসেবে গ্রহণ করে। এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেয় আদালত।