সোমবার রাতে সোনাগাজী পৌরসভার তুলাতলী থেকে ওই তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী।
পিবিআইয়ের পরিদর্শক শাহ আলম এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রবিবার মামলার অন্যতম দুই আসামি শাহাদাত হোসেন ওরফে শামীম ও নুর উদ্দিনের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে মো. শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, নুসরাতের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার সময় শামীম প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন।
নুসরাত হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলাসহ ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে এজাহারভুক্ত সাতজন আসামি রয়েছেন।
গত ৬ এপ্রিল শনিবার সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে গেলে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার ছাদে নুসরাত জাহান রাফিকে মুখোশ পরা ৪/৫জন অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। তিনি অস্বীকৃতি জানালে তারা তার গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।
গত ১০ এপ্রিল বুধবার রাত নয়টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান অগ্নিদগ্ধ নুসরাত জাহান রাফি।
বৃহস্পতিবার সোনাগাজী পৌরসভার উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।