তিনি বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে কিছু অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছি, অন্যদেরও গ্রেপ্তার করা হবে। কেউ ছাড় পাবে না। কেউ শাস্তির বাইরে থাকবে না। তাদের সবাইকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পেতেই হবে, যাতে এ রকম ঘটনা ভবিষ্যতে আর না ঘটে।’
বিকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সভার সূচনা বক্তব্যে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে আনা শ্লীলতাহানির অভিযোগ প্রত্যাহার করতে রাজি না হওয়ায় গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসাছাত্রীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় বোরকা পরিহিত দুর্বৃত্তরা। শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে যাওয়া নুসরাত বুধবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, নুসরাত মাদরাসা অধ্যক্ষের দ্বারা নিগৃহীত হয় এবং তাকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ‘মানুষকে আগুন দিয়ে পুড়িয়া মারার নিন্দা করার ভাষা আমার নেই। মেয়েটাকে বাঁচাতে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলাম। এমনকি সিঙ্গাপুরে নেয়ারও চেষ্টা করেছিলাম।’
আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যার এ পথটি বিএনপি-জামায়াত দেখিয়েছে অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন ঠেকাতে ২০১৩ সালে এটি করেছিল, ২০১৫ সালেও সরকার পতনের নামে একই কাজ করেছে। তাই এ ব্যাপারে সামাজিক সচেতনতা দরকার।
দেশের বিভিন্ন স্থানে বারংবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যারা ঘর-বাড়ি, অফিস ও ভবনগুলো ব্যবহার করেন, এটা তাদের দায়িত্ব। যে কোনো অগ্নিকাণ্ডের সময় তারা কিভাবে বের হবে সেটা তাদের নিশ্চিত করতে হবে এবং সেখানে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা থাক উচিত।
যে কোনো স্থাপনা নির্মাণের সময় স্থপতি, প্রকৌশলী এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যারা ভবনের অনুমোদন দিয়ে থাকেন, তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আবহাওয়া ও জলবায়ুসহ অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়সমূহ মাথায় রেখে ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা করতে হবে। জমির প্রতিটি ইঞ্চি ব্যবহারের মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে।
অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে নিজস্ব ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, এজন্য সরকার যা প্রয়োজন তা করবে।