রবিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ডাকসু ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি।
ডাকসুর পদে থাকা ছাত্রলীগ প্যানেলের সদস্যরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। ডাকসুর ২৫টি পদের ২৩টি পদ পায় ছাত্রলীগ।
সংবাদ সম্মেলনে রাব্বানী বলেন, ‘অডিও ক্লিপ থেকে এটা পরিষ্কার যে, ডাকসু ভিপি দুর্নীতি ও অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত। ডাকসুর ভিপি পদে থাকার জন্য তার আর নৈতিক অধিকার নেই।’
নূরকে দুর্নীতিবাজ আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ‘আমি আশা করব, তিনি শিগগিরই পদত্যাগ করবেন। যদি তিনি তা না করেন, আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
‘পাশাপাশি, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ডাকসু সভাপতিকেও শিগগিরই নূরকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার অনুরোধ করব,’ যোগ করেন তিনি।
গত ৩ ডিসেম্বর ডাকসু ভিপি ও এক প্রবাসী বাংলাদেশির কথোপকথনের একটি অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়। ওই অডিও ক্লিপে শোনা যায়; এক প্রবাসী নূরের কাছে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর ও ইমেইল আইডি পাঠানোর অনুরোধ জানান।
প্রসঙ্গত, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্প থেকে চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের পদ হারান ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানী। ওই সময় ডাকসুর জিএস থেকে রাব্বানীর পদত্যাগ দাবি করেছিলেন নূর।