হাসপাতালের ৪ নং ওয়ার্ডের শিশু ইউনিট ২ এ ভোর ৬টা ২০ মিনিটের দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- ইমাম উদ্দিন (৫ মাস), রাফি (৩০ মাস), ইসমাইল (৫ বছর), সুমাইয়া বানু (১২ বছর), মো. রাসেল (১৬ বছর), রাসেদা (৩৫ বছর), পারুল বেগম (৪৫ বছর) ও ইব্রাহিম (৫০ বছর)। এদের মধ্যে শিশু ইসমাইলের অবস্থা গুরুত্র।
ওই ইউনিটে কর্তব্যরত নার্স নিলুফা বেগম জানান, সকাল ৬টা ২০ মিনিটের দিকে তিনি তার ওয়ার্ডে হঠাৎ করে বিকট শব্দ শুনে সেখানে ছুটে যান এবং দেখতে পান ছাদের বিশাল আকৃতির পলোস্তারা কয়েকজন রোগীর ওপর ধসে পড়েছে। রোগী এবং অভিভাবকদের চিৎকারে ওয়ার্ডটিতে লোকজন উদ্ধার কাজে ছুটে আসে। এসময় রোগীসহ কয়েকজন আহত হন। আহতদের দ্রুত চিকিৎসা দিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স মাইজদী স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল হাসপাতালে ছুটে আসে এবং রোগীদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার কাজে অংশ নেয়।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক চিকিৎসক মো. খলিলুর রহমান জানান, হাসপাতালের এই ভবনটিকে গণপূর্ত বিভাগ ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করলেও পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়নি। দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে ইসমাইল (৫) নামের এক শিশুর অবস্থা গুরুতর, তার মাথায় আঘাতজনিত কারণে ৬টি সেলাই দেয়া হয়েছে। অন্যান্যরা আশঙ্কামুক্ত, তাদের চিকিৎসা চলছে।
অন্যদিকে নোয়াখালী গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামরুল ইসলাম জানান, ১৯৬৭ সালে নির্মিত হাসপাতালের এই ভবনটিকে প্রথমে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয় এবং তিন বছর আগে এটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয় গণপূর্ত বিভাগ। তবুও হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ ভবনটির ৪টি ইউনিট ব্যবহার করে আসছিল।