নিহত নজরুল ইসলাম ওরফে কানা নজরুল (২৬) অভিরামপুর গ্রামের আবদুল হাকিমের ছেলে। তিনি ছাত্র শিবিরের পিয়াস বাহিনীর সেকেন্ড-ইন-কমান্ড ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন-অর-রশিদ চৌধুরী জানান, থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) যৌথভাবে ভোর ৩টা ৪৫ মিনিটের দিকে জনকল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অভিযান চালায়। এ সময় পিয়াস বাহিনী গুলি চালালে বন্দুকযুদ্ধ বেঁধে যায়। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নজরুলকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ পরে তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ধারালো অস্ত্র ও পাঁচ রাউড গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।
নজরুলের বিরুদ্ধে রাকিব হত্যাসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
রবিবার রাতে আমানউল্লাপুর বাজারে ছাত্রলীগের নেতাদের ওপর শিবিরের হামলায় রাকিবসহ পাঁচজন গুরুতর আহত হয়। সোমবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাকিব মারা যায়। এ ঘটনায় তার মা শিরিন আক্তার ২৫ জনের বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
পুলিশ সোমবার দুপুরে চার শিবির কর্মীকে আটক করে আদালতে হাজির করে বলে জানান ওসি। তিনি আরও বলেন, তারা বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছেন।