রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে বিদ্যালয়ের ছাত্রদের আয়োজনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
এসময় কয়েকজন বিক্ষুব্ধ ছাত্রকে মারপিট করে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা।
উল্লেখ্য, শনিবার সকালে শিক্ষক প্রদেশ কুমার মল্লিক তার প্রাইভেট কোচিংয়ে এক ছাত্রীকে মারধর করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনা বাড়িতে জানালে ওই ছাত্রীর পিতা স্থানীয় ঠিকাদার মঈনউল্লাহ দুলু ওই শিক্ষককে বাড়ি থেকে কলার ধরে টেনে হিঁচড়ে বের করে নিয়ে আসেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে ছাত্ররা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।
পরে বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা শিক্ষককে লাঞ্ছিতের ঘটনায় ডিসি অফিস ঘেরাও এবং সড়ক অবরোধ করে। এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধের পর প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ছাত্রদের স্কুলে ফেরত পাঠানো হয় এবং শিক্ষকদের সাথে জেলা প্রশাসকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা বৈঠক করেন।
ছাত্ররা রাস্তা ছেড়ে গেলেও স্কুলের গেটে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখে। তারা অবিলম্বে শিক্ষকের ওপর হামলাকারী ঠিকাদার মঈনউল্লাহ দুলুকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়।
শিক্ষক প্রদেশ মল্লিক জানান, শনিবার সকালে তার বাসায় প্রাইভেট পড়া শিক্ষার্থীদের সাপ্তাহিক পরীক্ষা নেয়ার সময় ঠিকাদার মঈনউল্লা দুলুর মেয়ে শানজিনা এরিনা খাতায় নাম না লিখে জমা দেয়। খাতায় নাম লেখোনি কেন, এ প্রশ্ন করলে সে খাতা আমার সামনে ছুড়ে ফেলে দেয় এবং বাড়ি থেকে তার বাবাকে ডেকে নিয়ে আসে। তিনি এসে শিক্ষার্থীদের সামনে আমাকে অপমান অপদস্ত করেন। এ ব্যাপারে প্রশাসনের সাথে বসে ঘটনার সমাধান হয়েছে।
ঠিকাদার মঈনউল্লা দুলু বলেন, শনিবার সকাল ৬টার দিকে শিক্ষক প্রদেশ মল্লিকের বাড়িতে আমার মেয়ে প্রাইভেট পড়তে যায়। কিছু সময় পড়ে কাঁদতে কাঁদতে সে বাড়ি ফিরে আসায় কারণ জিজ্ঞেস করলে সে পিঠ দেখিয়ে বলে স্যার তাকে মেরেছেন। তখন আমি স্যারের বাড়ি গিয়ে স্যারকে পুলিশে দেয়ার জন্য ঘর থেকে বের করে আনি কিন্তু মারধর করিনি। পরে রাস্তায় এলে পরিচিত কয়েকজন তাকে ছেড়ে দেয়ার কথা বললে আমি তাকে ছেড়ে দেই।
পরে আমার বড় ভাইদের নিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সাথে দেখা করি এবং ওই শিক্ষকের সাথে ঘটে যাওয়া বিক্ষিপ্ত ঘটনার অবসান ঘটে। এ অবস্থায় কিছু অছাত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভুল বুঝিয়ে এ সব করায়। পরে জেলা প্রশাসকের সাথে ওই শিক্ষকসহ সকলে বসে এর সুষ্ঠু সমাধান হয়েছে।