উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত সচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রতিটি জেলা শহর থেকে রেল পথ উন্নয়নে বর্তমান সরকারের নেয়া পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পঞ্চগড়-ঢাকা রেলপথে আন্তঃনগর ট্রেন সার্ভিস চালু করা হলো। সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা অনুযায়ী পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা রেলপথ নির্মাণ করা হবে। ইতোমধ্যে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। আন্তঃনগর দুটি ট্রেন সার্ভিসে ৩৫টি করে আসন দেয়া হলেও খুব শিগগিরই আসন পুনঃবিন্যাস করা হবে।
এছাড়া ঢাকা-পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা রুটের মাধ্যমে আগামীতে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর হয়ে ভারত, নেপাল এবং ভুটানের সাথে বাংলাদেশের যোগাযোগের সম্ভাবনার কথাও জানালেন তিনি।
এ সময় বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক কাজী মো. রফিকুল আলম, পঞ্চগড়-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. নুরুল ইসলাম সুজন, জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. গোলাম আযম, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার সাদাত সম্রাট, পঞ্চগড় রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার মো. মোশাররফ হোসেনসহ সহস্রাধিক উচ্ছসিত মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
অতিথিবৃন্দ উপস্থিতিতে সবুজ পতাকা উড়িয়ে সকাল সাড়ে ৭টায় লাল সবুজের ১৩টি বগি নিয়ে আন্তঃনগর দ্রুতযান ট্রেনটি পঞ্চগড় স্টেশন ছেড়ে যায়। এছাড়া রাত ৯টায় একতা এক্সপ্রেস নামে আরেকটি আন্তঃনগর ট্রেন পঞ্চগড় ছেড়ে যাবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, পঞ্চগড় থেকে ঢাকা রুটে নতুন ট্রেন সার্ভিস চালুর কথা থাকলেও ঢাকা থেকে দিনাজপুরগামী দ্রুতযান ও একতাকেই নিয়ে আসা হয়েছে পঞ্চগড়ে। ট্রেন দুটি ২৩টি রেলস্টেশনে থামবে। এখন থেকে আর ডেম্যু বা শাটল ট্রেন থাকবে না। সপ্তাহের প্রতিদিনই ট্রেন দু’টি যাতায়াত করবে। পঞ্চগড় রেলস্টেশন থেকে প্রতিদিন সকাল ৭. ২০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবে। আবার ঢাকা থেকে প্রতিদিন রাত ৮টায় পঞ্চগড়ের উদ্দেশ্যে চেড়ে আসবে। অপরদিকে একতা এক্সপ্রেস পঞ্চগড় থেকে প্রতিদিন রাত ৯টা আর ঢাকা থেকে ছাড়বে সকাল ১০টায় ছাড়বে। একতায় প্রতিটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) বাথের ভাড়া ১৯৪২টাকা, এসি চেয়ারের ভাড়া ১০৫৩ টাকা, নন এসি বাথের ভাড়া ১১৪৫ টাকা ও শোভন চেয়ারের ভাড়া ৫৫০ টাকা।
ট্রেন দুটি চালু হওয়ায় সহজে যাত্রী, মালামাল পরিবহনের পাশাপাশি অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।