প্রধানমন্ত্রী হিন্দিতে খেয়ালি করে বলেন, ‘হঠাৎ করে আপনারা (ভারত) পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছেন। যদি আমাদের আগে এ বিষয়ে জানানো হত তাহলে আমরা অন্য দেশ থেকে ব্যবস্থা করতে পারতাম। ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত যদি আপনারা আগে আমাদের জানান তাহলে ভালো হয়।’
প্রধানমন্ত্রী মজা করে বলেন যে তিনি ইতিমধ্যে তার রাঁধুনিকে রান্নায় পেঁয়াজ ব্যবহার বন্ধ করতে বলেছেন।
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে হোটেল আইটিসি মৌর্যতে ভারত-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরামের উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন।
ভারত সরকার অভ্যন্তরীণ চাহিদা সামাল দিতে ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। যার প্রভাবে বাংলাদেশে পেঁয়াজের বাজার উত্তপ্ত হয়ে পড়ে। প্রায় সবখানে দাম কেজি প্রতি ১০০ টাকার ওপরে উঠে যায়।
এদিকে, বর্তমান নিষেধাজ্ঞার আগে করা এলসির আওতায় প্রায় ৬০ ট্রাকে করে দেড় হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ শুক্রবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে আসা শুরু হয়েছে। সেই সাথে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে আসছে ২০০ ট্রাক।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ভারতের শিল্প, বাণিজ্য ও রেলমন্ত্রী পীযুষ গয়াল, বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির (সিআইআই) সভাপতি বিক্রম এস কিরলস্কর এবং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসিআই) সভাপতি সন্দ্বীপ সোমানি।
অ্যাসোসিয়েটেড চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ইন ইন্ডয়ার (এএসএসওসিএইএএম) সভাপতি বিকে গোয়েংকা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।