তিনি বলেন, ‘মূল সেতুর নির্মাণ কাজের অগ্রগতি শতকরা ৯২ ভাগ। আর প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৮৪ ভাগ।’
মুন্সিগঞ্জের লৌহজং থানার মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুসহ চার মেগা প্রকল্পের উদ্বোধন আগামী বছরের জুনের মধ্যে: মন্ত্রী
পদ্মা সেতুর সমালোচনাকারী ইউনুস ও খালেদা এখন কোথায়, প্রশ্ন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর
ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতুর সম্পূর্ণ অবকাঠামোর কাজ ২০২২ সালের জুনের মধ্যে শেষ করে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
পদ্মার নদী শাসন কাজ অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের দুটি আনপ্রেডিক্টেবল নদীর মধ্যে আমাজনের পরেই রয়েছে পদ্মা। এ নদীর জলপ্রবাহের গতি অত্যন্ত বৈচিত্রময়। এ কঠিন চ্যালেঞ্জ আমরা অতিক্রম করছি মহান স্রষ্টার রহমত এবং প্রধানমন্ত্রীর সাহসী নেতৃত্বে।’
তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর সাথে নদীর এপার থেকে ওপারে নেয়া হচ্ছে গ্যাস পাইপ লাইন এবং অপটিক্যাল ফাইবার। এছাড়া সেতুর পাশেই নির্মাণ করা হচ্ছে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন। ৩৮৩ ফুট গভীরে পাইলিং করা হয়েছে, যা এক্ষেত্রে একটি রেকর্ড।
সেতুমন্ত্রী বলেন, নদী শাসন কাজের অগ্রগতি হয়েছে শতকরা ৭৯ ভাগ। ডাবল-ডেকার এই সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন এবং নিচ তলা দিয়ে ট্রেন চলাচলের পথ তৈরি করা হচ্ছে। স্থাপন করা হচ্ছে রোড এবং রেলওয়ে স্ল্যাব। এরই মাঝে যানবাহন চলাচলের জন্য ৭২ ফুট প্রশস্ত চার লেনের সড়কপথ তৈরির কাজ ৬১ ভাগ এবং রেলপথ তৈরির কাজ ৭৮ ভাগ শেষ হয়েছে।
কাদের বলেন, পদ্মা সেতু শুধুমাত্র একটি সেতুই নয়, এ সেতুকে ঘিরে দেশের আগামী দিনের উন্নয়ন আবর্তিত হবে। পদ্মা সেতুর সাথে সংযোগ রেখে লেবুখালি ও কালনা সেতুর নির্মাণ কাজও এগিয়ে চলেছে। পরিকল্পনার আওতায় আনা হয়েছে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল এবং খুলনা-মংলা মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করার।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু নিয়ে বিরূপ মন্তব্যকারীরা আশাহত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
পদ্মা সেতু ঘিরে যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণের পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের
স্বপ্নের পদ্মা সেতু এখন পুরোপুরি দৃশ্যমান
তিনি বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের ১৯টি জেলার সাথে সংযোগ ছাড়াও মংলা সমুদ্রবন্দর, নির্মাণাধীন পায়রা সমুদ্র বন্দর, বেনাপোল ও ভোমরা স্থলবন্দর, পর্যটনে সাগরকন্যা কুয়াকাটা ও বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনকে ঘিরে গড়ে উঠবে অর্থনীতির নবতর প্রাণপ্রবাহ। বদলে যাবে দেশের অর্থনীতির চালচিত্র।
এ সময় পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলামসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।