মূল তাজিয়া মিছিলটি সকাল ১০টার দিকে পুরান ঢাকার ইমামবাড়ার হোসাইনী দালান থেকে শুরু হয়ে ধানমণ্ডির জিগাতলা গিয়ে শেষ হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পুরো মিছিল ঘিরে ছিলেন।
তাজিয়া মিছিলটি আজিমপুর, বকশি বাজার ও নিউমার্কেট এলাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
শোকের প্রতীক হিসেবে কালো পোশাক পরিহিত পুরুষদের পাশাপাশি নারী ও শিশুরাও মিছিলে যোগ দেয়।
সকালে ইমামবাড়া পল্টন, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, মগবাজার ও বকশি বাজার থেকেও তাজিয়া মিছিল বের করা হয়।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আর্চওয়েতে প্রবেশ এবং তল্লাশি ছাড়া কাউকে মিছিলে অংশগ্রহণ করতে দেয়া হয়নি।
নির্বিঘ্নে আশুরা উদযাপন উপলক্ষে ইমামবাড়ার হোসাইনী দালান এবং আশপাশের এলাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ইমামবাড়ার হোসাইনী দালানের কর্মকর্তা এম এম ফিরোজ ইউএনবিকে জানান, শৃঙ্খলা রক্ষায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি ৩০০ স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করছেন। যার ফলে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই মিছিল শেষ করা সম্ভব হয়েছে।
আগের বছরগুলোর মতো এবারও পবিত্র আশুরার অনুষ্ঠানস্থলে কাউকে ব্যাগ, তিক্ষ্ণ অস্ত্র বা দাহ্য কিছু নিয়ে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। সেই সাথে এদিন নগরবাসীকেও কোনো ধরনের আতশবাজি না ফোটাতে বলা হয়।
সারাবিশ্বের মুসলমানদের কাছে আশুরার দিনটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যময়। ইসলামের ইতিহাসে বিষাদময় কারবালাসহ নানা ঘটনার স্মরণে হিজরি বছরের প্রথম মাস মহররমের ১০ তারিখ পবিত্র আশুরা পালিত হয়।
মুসলিম ধর্মের মানুষের কাছে এই দিনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, তবে শিয়া মতাবলম্বীদের কাছে এটি বিষাদের দিন। এ দিনে মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.) এর দৌহিত্র ইমাম হোসেন (রা.) ফোরাত নদীর তীরে কারবালা প্রান্তরে নির্মমভাবে শহীদ হন। শোকের প্রতীক হিসেবে বিশ্বজুড়ে মুসলমান সম্প্রদায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করেন।
ইসলাম ধর্মমতে, মহান আল্লাহ ওই দিনেই পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবং ওই দিনেই পৃথিবী ধ্বংস হবে।
দিনটি বাংলাদেশে সরকারি ছুটির দিন।