সারাবিশ্বের মুসলমানদের কাছে আশুরার দিনটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যময়।
ইসলামের ইতিহাসে বিষাদময় কারবালাসহ নানা ঘটনার স্মরণে আরবি সনের হিজরি বছরের প্রথম মাস মহররমের ১০ তারিখ পবিত্র আশুরা পালিত হয়। তাই মুসলিম ধর্মের মানুসের কাছে এই দিনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, তবে শিয়া মতাবলম্বীদের কাছে এটি বিষাদের দিন।
মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.) এর দৌহিত্র ইমাম হোসেন (রা.) এই দিনে ফোরাত নদীর তীরে কারবালা প্রান্তরে নির্মমভাবে শহীদ হন। শোকের প্রতীক হিসেবে বিশ্বজুড়ে মুসলমান সম্প্রদায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করেন।
ইসলাম ধর্মমতে, মহান আল্লাহ ওই দিনেই পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবং ওই দিনেই পৃথিবী ধ্বংস হবে।
এদিকে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে তাজিয়া শোক মিছিলে ডিএমপি’র পক্ষ থেকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
গত মঙ্গলবার রাজধানীর পুরাতন ঢাকার ইমামবাড়ার হোসাইনী দালানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্ববেক্ষণ করেন ডিএমপি কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান মিয়া।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, কোনো সুনির্দিষ্ট হুমকি না থাকলেও আমরা এই এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছি।
ডিএমপি প্রধান বলেন, অন্যান্যা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি কাউন্টার টেরোরিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি), সোয়াট, বোমা নিস্ক্রিয়করণ দল ডগ স্কোয়াড এই এলাকায় সতর্ক অবস্থানে থাকবে।
ইমামবাড়া থেকে পুলিশ পাহাড়ায় শোকমিছিল শুরু হবে এবং বাইরে থেকে কেউ এ মিছিলে ঢুকতে পারবে না জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, যে কোনো ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ কার্যক্রম ঠেকাতে আমাদের ব্যবস্থা রয়েছে।
ছুরি ও তরোয়ালের মতো তিক্ষ্ণ অস্ত্র মিছিলে নেয়া যাবে না উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, কোনো ধরনের আতশবাজিও ব্যবহার করা যাবে না।
প্রত্যেককে আর্চওয়ে ও হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষা করার পর হোসাইনী দালান এলাকায় প্রবেশ করতে দেয়া হবে বলেও জানান ডিএমপি প্রধান।
এছাড়াও তাজিয়া মিছিলটি শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য জনগণকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া।