‘জাতীয় পাট দিবস-২০১৯’ উপলক্ষে মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে আয়োজিত শোভাযাত্রায় তিনি এ কথা বলেন।
পিআইডির সংবাদ অনুযায়ী মন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তর পরবর্তী সরকারগুলো পাটের সুদিন ফেরাতে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এ জন্য বহু পাটকল বন্ধ হয়েছে। শ্রমিকেরা চাকরি হারিয়ে বেকার হয়েছেন। দেশের পাট শিল্পাঞ্চল ধ্বংস হয়েছে। কিন্তু বর্তমান সরকার পাটকে কীভাবে লাভজনক করা যায় সে জন্য সর্বদা চিন্তা ভাবনা করছে। পাটের সুদিন আবার ফিরে আসবে এবং পাটের বাজার আবার সম্প্রসারিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
গোলাম দস্তগীর গাজী আরও বলেন, বর্তমান সরকার পাটের উন্নয়নে বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদনকে গুরুত্ব দিয়ে নানামুখী উদ্যোগ ও বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। পাট অর্থনীতিকে গতিশীল করে তোলার জন্য সব ধরনের কাজ করবে সরকার।
‘পাটশিল্পের সাথে কৃষক থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরাও জড়িত। মনে রাখতে হবে, সোনালী আঁশে সোনার দেশ, জাতির পিতার বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা দাবির অন্যতম ছিল পাটখাতের বৈষম্য। তখন পাকিস্তান পাটের ন্যায্যমূল্য দিত না,’ যোগ করেন তিনি।
সারাবিশ্ব এখন প্লাস্টিক বাদ দিয়ে পাটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, পাটপণ্যের প্রসার ঘটছে। সেই দিক থেকে বাংলাদেশ কোনোভাবে পিছিয়ে থাকতে পারে না। সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বিত চেষ্টায় পাট সারাবিশ্বে তার বাজার দখল করবে।
বস্ত্র ও পাট শিল্প মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. মিজানুর রহমানসহ বিভিন্ন কমর্কতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।