২০০৯ সালের এ দিনের হত্যাকাণ্ডে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ প্রাণ হারান মোট ৭৪ জন।
দিনটি উপলক্ষে পিলখানার বিজিবি সদপ্তরসহ দেশের সকল অঞ্চেলের সব সেক্টর, প্রতিষ্ঠান এবং ইউনিটে কোরআন খানি, দোআ ও মিলাদ মহফিলের আয়োজন করবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
এর আগে সকালে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে বনানী সামরিক কবরস্থানে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা সচিব ও বিজিবির মহাপরিচালক শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিকালে পিলখানা সদরদপ্তরে কেন্দ্রীয় মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে।
২০০৯ সালে বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সপ্তাহ চলাকালে ২৫ ফেব্রুয়ারি সশস্ত্র বিদ্রোহ করেন বাহিনীর কয়েকশ সদস্য। তাদের হাতে পিলখানা সদরদপ্তরে নিহত হন ৫৭ জন সেনাকর্মর্তাসহ ৭৪ জন।
পরে সরকারের সাথে বিদ্রোহীদের আলোচনা শেষে পরদিন ২৬ ফেব্রুয়ারি অস্ত্র, গুলি ও গ্রেনেড জামাদানের মধ্য দিয়ে বিদ্রোহের সমাপ্তি হয়।
ঘটনার জেরে আধা সামরিক বাহিনী বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) নাম বদলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রাখা হয়।
হত্যা, লুটপাট ও বিদ্রোহের এ ঘটনায় মোট ৫৮টি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে হত্যার এক মামলায় দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ৪২৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং ২৭৭ জনকে খালাস দেয়া হয়।
অন্যদিকে, বিদ্রোহের জন্য দায়ের করা ৫৭ মামলায় বিডিআরের মোট পাঁচ হাজার ৯২৬ জন সদস্যের বিভিন্ন মেয়াদে (চার মাস থেকে সাত বছর) কারাদণ্ড দেয়া হয়।