তিনি বলেন, ‘কৃষকরা তাদের ধানের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না। চলতি বছরে বোরো ধানে প্রতি মনে ৫০০ টাকা করে ক্ষতি গুণতে হচ্ছে তাদের। এ জন্য প্রতি মন ধানের দাম ১২ শ টাকা নির্ধারণ করে দেয়া উচিত।’
শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বৈষম্যহীন সমাজ ও অর্থনীতি বিনির্মাণে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ১২ লাখ ৪০ হাজার ৯০ কোটি টাকার বিকল্প বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থনীতিবিদ বারকাত এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির পক্ষে প্রস্তবিত বাজেটে ১০ লাখ ২ হাজার ৫১০ কোটি টাকার রাজস্ব আয় দেখানো হয়েছে, যার ৬৯ শতাংশ আসবে প্রত্যক্ষ কর এবং বাকি অংশ আসবে পরোক্ষ করের মাধ্যমে।
প্রস্তাবিত বাজেটে ২ লাখ ৩৭ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা ঘাটতি দেখানো হলেও তা বিদেশি ঋণমুক্ত বলেও জানান আবুল বারকাত।
তিনি আরও জানান, তারা রাজস্ব আয়ের জন্য ২০টি নতুন খাত চিহ্নিত করেছেন। ‘তাদের মধ্যে মুদ্রাপাচার রোধ, কালো টাকা পুনরুদ্ধার ও সম্পদের ওপর কর- এ তিন উৎস থেকে সরকার অতিরিক্ত ৯৫ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করতে পারবে।’
অর্থনীতিবিদ বারকাত তাদের প্রস্তাবিত বাজেটে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ দেখিয়েছেন শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে। এতে তারা ২ লাখ ৮৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন।
শিক্ষা খাতে জিডিপির অন্তত ৫ শতাংশ বরাদ্দ বেকারত্ব সমস্যা দূর করতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর ৩০ লাখ মানুষ শ্রম বাজারে প্রবেশ করলেও ২০ লাখ মানুষ কর্মহীন থাকছে।’
এছাড়াও অর্থনীতি সমিতির এ বিকল্প বাজেটে প্রশাসন, পরিবহন ও যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণমুখী খাতগুলোকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।