তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ হত্যার রাজনীতি করে না। আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। যদি আমরা তা করতাম তাহলে এ দেশে বিএনপির অস্তিত্ব থাকত না। কারণ, আমাদের চেয়ে কেউ বেশি বিএনপির হত্যা, নিপীড়ন ও নির্যাতনের শিকার হয়নি।’
জাতীয় সংসদে বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানার (সংরক্ষিত আসন-৫০) এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিএনপির নারী সংসদ সদস্য তার প্রশ্নে বলেন যে এখন দেশে মানুষ হত্যা থেকে মশা মারা পর্যন্ত সব বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা প্রয়োজন হয়। যা রাষ্ট্রের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ভেঙে পড়া ও অকার্যকর হওয়ার ইঙ্গিত।
রাষ্ট্রের প্রাতিষ্ঠানগুলোর সফলতা একটি কার্যকর রাষ্ট্রের পূর্বশর্ত উল্লেখ করে তিনি প্রশ্ন রাখেন যে অকার্যকর প্রতিষ্ঠানগুলো রাষ্ট্র পরিচালনায় সরকারের সার্বিক ব্যর্থতার চিত্র তুলে ধরে কি না।
জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা, যিনি এ দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য তার জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।
‘তার কন্যা হিসেবে জনগণের প্রতি আমার আলাদা দায়বদ্ধতা রয়েছে। যে কারণে আমি দিনরাত পরিশ্রম করি। অকার্যকর নয়, সব প্রতিষ্ঠানকে আরও সক্রিয় রাখার জন্য আমি সর্বদা সচেষ্ট থাকি,’ যোগ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশের অগ্রগতি তুলে ধরেন, যা আওয়ামী লীগ সরকারের নিরলস প্রচেষ্টা ও মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে অর্জিত হয়েছে।
এসব অর্জন আপনা-আপনি হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলো অকার্যকর থাকলে এমন সফলতা অর্জন সম্ভব হত না।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। কারণ, রাষ্ট্রযন্ত্র ভালোভাবে কাজ করছে। ‘কাজ করার বদলে তার (রুমিন) নেত্রী খালেদা জিয়ার মতো দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঘুমিয়ে কাটালে কি প্রশ্নকারী খুশি হতেন?’
বিএনপি অকার্যকর রাষ্ট্রের উদাহরণ সৃষ্টি করেছিল উল্লেখ করে তিনি খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানকে ইঙ্গিত করে বলেন, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত এমন ব্যক্তির কাছ থেকে আসত যিনি রাষ্ট্রযন্ত্রের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন না। ‘প্রধানমন্ত্রী ঘুমিয়ে থাকতেন এবং তার ছেলে হাওয়া ভবন থেকে সিদ্ধান্ত দিত। মন্ত্রী ও সচিবরা হাওয়া ভবন থেকে নির্দেশনার অপেক্ষায় থাকতেন।’
রুমিন তার প্রশ্নে মানুষ ও মশা মারাকে একই সমতলে নিয়ে আসায় প্রধানমন্ত্রী সমালোচনা করে বলেন, ‘তার প্রশ্ন অনাকাঙ্ক্ষিত, অসংসদীয় ও অবান্তর।’