এদিকে মো. আবুল কালামকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) হিসেবে নিয়োগপূর্বক বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।
সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এ বিষয়ে মো. আবুল কালাম বলেন, ‘আমার দুই বছর পূর্ণ হয়েছে। বিধি অনুযায়ী আমাকে বদলি করা হয়েছে।’
দায়িত্বপালনকালে বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মরত সাংবাদিকদের সহযোগিতা পাওয়ায় তাদের ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি।
আবুল কালাম ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার পদে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
এদিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গত ২৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত সমাবেশের অনুমতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ক্যাম্প ইনচার্জসহ তিনজনকে বদলি করা হয়েছে।
তারা হলেন- উখিয়ার কুতুপালং ৪ ও ৫ নম্বর ক্যাম্পের ইনচার্জ শামিমুল হক পাভেল (উপসচিব-১৫৮১০) এবং টেকনাফের নয়াপাড়া ১৩, ১৪ ও ১৯ নম্বর ক্যাম্পের ইনচার্জ আবদুল ওয়াহাব রাশেদ (সিনিয়র সহকারী সচিব-১৬২৩৫) এবং সহকারী ক্যাম্প ইনচার্জ মো. জাহাঙ্গীর আলম (সহকারী সচিব-১১৪১২)।
গত ১ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রেষণ-১ অধিশাখার উপসচিব মুহাম্মদ আবদুল লতিফ কর্তৃক স্বাক্ষরিত ৭০১, ৭০২ এবং ৭০৩ নম্বর স্মারকে এ পৃথক তিনটি বদলি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
শামিমুল হক পাভেলথকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি রপ্তানি প্রকল্পের উপপরিচালক এবং আবদুল ওয়াহাব রাশেদকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর আওতাধীন মৌলিক স্বাক্ষরতা প্রকল্পের উপপরিচালক পদে বদলি করা হয়েছে।
মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে নতুন পোস্টিং না দিয়ে তার চাকরি আরআরআরসি কার্যালয় থেকে সরাসরি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যাস্ত করা হয়েছে।
কোন অভিযোগের ভিত্তিতে বদলি করা হয়েছে এ প্রসঙ্গে শামীমুল হক পাভেল, আবদুল ওয়াহাব রাশেদ ও মো. জাহাঙ্গীর আলম কিছুই জানেন না বলে জানান।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী জানান, সরকারি চাকরিতে বদলি স্বাভাবিক একটি বিষয়। তাই আরআরআরসিসহ তিনজন সিআইসিকে বদলি করা হয়েছে।