শনিবার সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এক বিবৃতিতে বলেন, ‘দেশের সড়ক যোগাযোগ সেক্টরের প্রধানতম স্টেক হোল্ডার যাত্রীসাধারণের প্রতিনিধিত্ব না রেখে প্রস্তাবিত সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ পাস করা হলে এই আইন শুধুমাত্র পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের স্বার্থ সংরক্ষণ করবে।’
দেশের ১৬ কোটি যাত্রী বঞ্চিত হবে দাবি করে এই আইনে যাত্রীসাধারণের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি হস্তক্ষেপ চেয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘দেশের সড়ক যোগাযোগ সেক্টরের প্রধানতম স্টেক হোল্ডার ১) পরিবহন মালিক, ২) পরিবহন শ্রমিক, ৩) যাত্রী সাধারণ এবং ৪) সরকার। দেশে সরকার নিবন্ধিত শক্তিশালী যাত্রী সংগঠন থাকার পরেও প্রস্তাবিত সড়ক পরিবহন আইনে যাত্রীসাধারণের প্রতিনিধিত্ব না রাখায় সারাদেশের যাত্রী সাধারণ বঞ্চিত হবে। সড়কে নৈরাজ্য, সড়ক দুর্ঘটনা, যাত্রী হয়রানি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়সহ সড়কে নানান অন্যায্য ও অগ্রহণযোগ্য পরিস্থিতির শিকার হলে যাত্রীসাধারণ সঠিক ও গ্রহণযোগ্য প্রতিকার পাবে না।’
‘পুরোনো আইনে যাত্রীসাধারণের প্রতিনিধিত্ব না থাকায় পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতাদের কাছে দেশের যাত্রীসাধারণ জিম্মি হয়ে আছে,’ যোগ করেন তিনি।
এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিতে দেশের গণপরিবহণ পরিচালনা, গণপরিবহণের ভাড়া নির্ধারণ, আঞ্চলিক পরিবহন কমিটি, সড়ক নিরাপত্তা কমিটি, সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ তহবিল ট্রাস্টি বোর্ডসহ সকল ক্ষেত্রে মালিক-শ্রমিক সংগঠনের পাশাপাশি যাত্রী সংগঠনের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেন্ত্রী সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন সমিতির মহাসচিব।