ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুর রহমান এ রায় দেয়। সাজাপ্রাপ্তদের ১৬ জন পরীক্ষার্থী।
সাজাপ্রাপ্ত পাঁচ হোতা হলেন- কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা থানার পরানখালি গ্রামের মৃত আহসান আলীর ছেলে ব্যবসায়ী আব্দুল হালিম, সাতক্ষীরার কলারোয়ার ঝাপাঘাটা গ্রমের আব্দুল আজিজের ছেলে জনতা ব্যাংক ম্যানেজার আফতাবুজ্জামান, একই গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে শিক্ষক আমিরুল ইসলাম, আশাশুনি উপজেলার চেউটিয়া গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে কৃষি ব্যাংক ম্যানেজার মনিরুল ইসলাম, একই উপজেলার কাকবাশিয়া গ্রামের রইছ উদ্দীনের ছেলে শিক্ষক তরিকুল ইসলাম।
র্যাব-৬ এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল সৈয়দ নুর সালেহীন প্রেসব্রিফিংয়ে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কলারোয়া থানার পাশ্ববর্তী সোনালী সুপার মার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাত নারীসহ ২৮ জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তালা উপজেলার ধানদিয়া এলাকা থেকে আব্দুল হালিম নামে এই চক্রের আরও এক হোতাকে আটক করা হয়। এনিয়ে মোট ২৯ জনকে আটক করে র্যাব। এর মধ্যে ২১ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২ বছর করে সাজা প্রদান করা হয়। বাকি আটজনের (অভিভাবক) বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না পাওয়ায় তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালে কলারোয়া থানার পাশের একটি ভবনে প্রশ্ন সমাধান করার সময় তাদের আটক করা হয়।
আটকরা র্যাবকে জানায়, ঢাকার একটি চক্র ১২ লাখ টাকার চুক্তিতে মোবাইল ফোনে প্রশ্ন ও উত্তর বলে দেয়ার দায়িত্ব নেয়। এ জন্য চক্রটিকে অগ্রিম পাঁচ লাখ টাকা দিতে হয়েছে। বাকি টাকা পরীক্ষা শেষে দেয়ার কথা ছিল।