মিটার স্থাপন বন্ধ ও স্থাপনকৃত মিটার খুলে নিতে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিকে (ওজোপাডিকো) এক মাসের আল্টিমেটাম দিয়েছে তারা।
বৃহস্পতিবার সকালে পিরোজপুরের সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে আয়োজিত ওই বিক্ষোভে দাবি আদায় না হলে আরও কঠিন কর্মসূচিতে যাবেন বলেও জানান গ্রাহকরা।
অবরোধ চলাকালে বক্তারা বলেন, ‘প্রিপেইড মিটারে কী পরিমাণ জালিয়াতি হচ্ছে তার প্রমাণ মিলবে শুধুমাত্র মিটার ভাড়া আদায় সংক্রান্ত বিষয়টিকে ঘিরেই। কেননা কতদিন পর্যন্ত মিটার ভাড়া নেওয়া হবে তা নির্দিষ্ট করে কোথাও বলা নেই, এমনকি মিটারের দামও বলা হয়নি। এতে পিরোজপুরের প্রিপেইড মিটার গ্রাহকরা শঙ্কিত। পুরানো মিটারটি খুলে যখন নতুন প্রিপেইড মিটার লাগানো হয়েছিল তখন বলা হয়েছিল মিটারের জন্য কোনো মূল্য নেয়া হবে না। এখন মিটার ক্রয় বাবদ প্রতি মাসে টাকা কেটে নিচ্ছে।’
ক্ষোভ প্রকাশ করে গ্রাহকরা বলেন, ‘ডিজিটাল এ মিটারে ব্যাংকে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে রিচার্জ করতে হয়। ১ হাজার টাকা রিচার্জ করলে ৮৩৭.৩৮ টাকার বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। বাকি টাকা থেকে মিটার ভাড়া হিসেবে ৪০ টাকা, ডিমান্ড চার্জ ৭৫ টাকাসহ ৫ শতাংশ ভ্যাট হিসেবে ৪৭ .৬২ টাকা কেটে নেয়া হচ্ছে। ডিজিটাল মিটারে অতিরিক্ত বিল এলে বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে সমাধান পাওয়া যেতো। কিন্তু এখন সমস্যা আরও জটিল। আতঙ্কে থাকতে হয়। আগে প্রতি মাসে ৭০০ টাকা বিল দিতে হতো। এখন প্রি-পেমেন্ট পদ্ধতিতে একই পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ করে মাসে ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা বিল দিতে হচ্ছে।’
পরে স্থানীয় প্রশাসনের আশ্বাসে বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা সড়ক অবরোধ তুলে নেয়।