নিহত আলিফের সহপাঠি আহত সাধন কীর্তনিয়া জানান, আলিফের সাথে সরকারি সারদা সুন্দরী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু সিফাত নামে আরেক যুবক ওই ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক করতে চায়। এ নিয়ে আলিফ আর সিফাতের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। সিফাত দ্বন্দ্বের মীমাংসা করার কথা বলে বিকালে আলিফকে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের শহর ক্যাম্পাসে ডেকে পাঠায়। সন্ধ্যায় আলিফ ও সাধন রাজেন্দ্র কলেজে এলাকায় গেলে সিফাত ও তার সহযোগীরা অস্ত্র দিয়ে আলিফকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। এসময় সাধন বাধা দিতে গেলে তাকে কুপিয়ে আহত করা হয়। তবে এসময় অস্ত্রের আঘাতে সিফাতও আহত হয়।
গুরুতর আহত আলিফকে স্থানীয়রা প্রথমে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ও পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে সাভার এলাকায় আলিফ মারা যায়। আহত সাধন ও সিফাত ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার পরিদর্শক (অপারেশন) বিপুল চন্দ্র দে জানান, এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে সিফাতকে পুলিশ নজরদারিতে রেখেছে। এ বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে।