তারা হলেন হাফেজ আবদুল কাদের ও মো. শরীফুল ইসলাম ওরফে শরীফ (২০)।
ঢাকার হোসনী দালান এলাকা থেকে আবদুল কাদের ও কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে শরীফকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. শাহ আলম।
আবদুল কাদের সোনাগাজী আমিরাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব সফরপুর গ্রামের মনছুর খান পাঠান বাড়ির আবুল কাসেমের ছেলে। তিনি সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষক এবং ফাজিল দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার অনুগত হিসেবে মাদরাসার হোস্টেলে থাকতেন আবদুল কাদের।
আবদুল কাদের গত ৬ এপ্রিল নুসরাতের গায়ে আগুন দেয়ার পরদিন মালামাল নিয়ে হোস্টেল ছেড়ে বাড়ি চলে যান।
অপরদিকে শরীফুল ইসলাম নুসরাতের গায়ে আগুন দেয়ার সময় নুর উদ্দিনের সঙ্গে মাদরাসার গেটে পাহারায় ছিল বলে কয়েকজন আসামি জানিয়েছে। শরীফও একই মাদরাসার ছাত্র ।
নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও পিবিআই।
প্রসঙ্গত, গত ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে গেলে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় মুখোশ পরা ৪/৫জন নুসরাত জাহান রাফিকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে করা যৌন হয়রানির মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। অস্বীকৃতি জানালে তারা নুসরাতের গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।
গত ১০ এপ্রিল বুধবার রাত ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান অগ্নিদগ্ধ নুসরাত জাহান রাফি।