রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে চলতি মাসের শেষ দিকে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের আলোচনায় বসা উপলক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী এ কথা বলেছেন।
সোমবার রাজধানীতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘কে কোন গ্রাম থেকে এসেছেন তা জানার জন্য আমরা আট হাজার রোহিঙ্গার গ্রামভিত্তিক যাচাই সম্পন্ন করেছি। তারা যাতে নিজদের গ্রামে ঘরে বাস শুরু করতে পারেন তা আমরা নিশ্চিত করতে চাই।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ভারত মিয়ানমারে ২৫০টি গৃহ নির্মাণ করেছে এবং চীন আরও এক হাজার নির্মাণ করছে। ‘ফেরত যাওয়ারা প্রথমে মিয়ানমারে অভ্যর্থনা কেন্দ্রে থাকবেন এবং পরে নিজেদের গ্রামে যাবেন।’
জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের আসন্ন বৈঠকে মিয়ানমারের সাথে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানান তিনি।
আগামী ২৮ তারিখ না হলে ৩০ অক্টোবর জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে একজন কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানিয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী রাখাইন রাজ্যের উত্তরে সহায়ক পরিবেশ তৈরি এবং যারা প্রত্যাবাসন করবেন তাদের জন্য গৃহ ও গ্রাম নির্মাণের কাজ দ্রুত করার প্রতি জোর দিয়েছিলেন।
তিনি চলতি বছরের আগস্টে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্যদের নিয়ে রাখাইন রাজ্য সফর করেন। তারা সেখানে জনগণের বিপুল দুর্ভোগের নজির দেখে এসেছেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সরকার ২০১৮ সালের ২৩ জানুয়ারির মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করেছিল। কিন্তু মিয়ানমার পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এবিষয়ে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি।